ফরিদপুরে চারটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত শনিবার বেলা ১১টা হতে রাত ৯টা ২০ পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই তরুণদের গ্রেপ্তার ও চোরাই মোটরসাইকেলগুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই পাঁচ তরুণ হলেন, ফরিদপুরের সালথার দোহার গট্টি গ্রামের মো. শামীম মাতুব্বর (২১), কুজুরদিয়া গ্রামের মো. হাসিবুল হাসান (২২), রাহুতপাড়া গ্রামের আসিব খান (২০) এবং ফরিদপুর সদরের বাখুন্ডা পশ্চিম পাড়া এলাকার মো. তানজিল হাসান (২৪) ও ফরিদপুর শহরের গোয়ালচাম্ট মহল্লার মো. শান্ত ইসলাম (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।
লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের মহিলা রোড বাজার এলাকা হতে শামীম মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি চোরাই সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মো. হাসিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ফরিদপুর সদরের বিলনালিয়া এলাকা হতে বিকেল ৫ টার দিকে তানজিল হাসনকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর জিম্মা থেকে উদ্ধার করা হয় ইউনিক ইউডি ১০০ নামের একটি মোটরসাইকেল। এর পর ৬টা ৪৫ এর সময় ফরিদপুর সদরের বউঘাটা বাজার হতে টিভিএস এ্যাপাচি
মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় আসিব খানকে। ওইদিন রাত ৯টা ২০ এর দিকে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার বেথুয়াবাড়ী সড়ক থেকে পালসার এনএস ১৬০ মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় মো. শান্ত ইসলামকে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর গোয়ন্দো পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুর জব্বার বাদী হয়ে ওই পাঁচ তরুনকে আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলাদায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত্ াগোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রহমান বলেন, ওই পাঁচ আসামিকে রবিবার জেলার এক নম্বর আমলী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আরও তথ্যের জন্য আসামিদের পরবর্তিতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।