ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ দুই স্কুল শিক্ষকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও স্থানীয়রা। স্থানীয়দের ধারনা করছেন, পদ্মার তীব্র স্রোতে তারা ডুবে যেতে পারে।
এদিকে, নিখোঁজ দুই স্কুল শিক্ষকের স্বজন ও সহকর্মীদের আজাহারীতে পদ্মার পাড়ে শোকাবহ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে একাধিক টিম সি অ্যান্ড বি ঘাটসহ ভাটি এলাকায় তল্লাসী চালাচ্ছে।তবে প্রচন্ড বৃষ্টি ও তীব্র স্রোতের কারনে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
গতকাল বিকেলে ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে ১৫জন শিক্ষক নৌভ্রমনে বের হয়। সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মদনখালী এলাকার নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গীতে থাকা একটি পল্টুনের সাথে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৫জন শিক্ষক ও ট্রলারে মাঝিসহ মোট ১৬ জন ছিলেন। তাৎক্ষনিকভাবে মাঝিসহ ১৪জনকে উদ্ধার করা গেলেও পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে যায় ২ স্কুল শিক্ষক।
নিখোঁজ থাকা দুই শিক্ষক হলেন ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন ও সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারি শিক্ষক আজমল হোসেন শেখ।