ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিনদিন পার হতে চলেছে এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে আরিচা থেকে আসা দমকল বাহিনীর পাঁচসদস্য বিশিষ্টএকটি ডুবুরি দল গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ ঐ দুই শিক্ষকের কোন সন্ধান পাননি তারা।
ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সহকারি পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। দমকল বাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজদের স্বজনদের সাথে নিয়ে শনিবারও ট্রলারে করে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। নজরুল ইসলাম আরও বলেন, এ নদী বরাবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, সদরপুর, মাদারীপুরের শিবচর ও শরিয়তপুর জেলার নদীর তীরবর্তী থানা গুলোকে বিশেষ সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া জরুরি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশসুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ইতিমধ্যেই পদ্মা নদীর তীরবর্তী প্রতিটি থানাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জরুরী বার্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ফরিদপুর সদরের পদ্মা নদীর মদনখালীর মাথায় নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী এলাকায় একটি পন্টুনের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি ।
ওই ট্রলারে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৫জন শিক্ষক ও ট্রলারে মাঝিসহ মোট ১৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ১৩জন শিক্ষক ও মাঝিসহ ১৪ জনকে উদ্ধারকরা সম্ভব হলেও দুই শিক্ষক পানির ¯্রােতে ভেসে যায়।
নিখোঁজ ওই দুই শিক্ষক হলেন ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন (৪০) ও সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারি শিক্ষক আজমল হোসেন শেখ (৪২)।