ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের জন্য খ্যাতি দীর্ঘদিনের। পেঁয়াজের পাশাপাশি চাষীরা পেঁয়াজের বীজ চাষ করে আসছে অনেক আগে থেকেই। গতবছর পেঁয়াজের বীজের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ এলাকার চাষীরা এ বছর পেঁয়াজের দানার আবাদ বেশি করেচৈ। এ বছর উপজেলার ৪৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের দানার চাষ হয়েছে। মাঠে ফলনও ভালো হয়েছে। আরও মাস খানেক পরে এ বীজ চাষীরা ঘরে তুলতে পারবে। ভাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে পেঁয়াজের বীজের বেশী চাষ হয়েছে পৌরসভা, ঘারুয়া, আলগী, চান্দ্রা ইউনিয়নে। এ ।এলাকায় পেঁয়াজের বীজ কালো সোনা নামে খ্যাত।
ভাঙ্গায় ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চৌকিঘাটা গ্রামের বাসিন্দা সফিউদ্দিন মোল্লা জানান, এ অঞ্চলে স্বাধীনতার ২/১ বছর আগে চৌকিঘাটা গ্রামের ক্বারী আ: বারেক প্রথম পেয়াজের বীজের চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি গ্রামের অন্যান্য চাষীরা উৎসাহিত হন। ঐ সময় বীজ চাষ করে চৌকিঘাটা গ্রামের চাষীরা লাভবান হতে থাকে। এদের দেখাদেখি আশে পাশের গ্রামের লোকজনও পেয়াজের চাষে উৎসাহিত হন। এখন পুরো ভাঙ্গাসহ আশেপাশের উপজেলায় পেয়াজের বীজ চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছর প্রতি কেজি পেয়াজের বীজ ৫-৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছে। এ এলাকার বীজ কুষ্টিয়া, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়।
ভাঙ্গার বামনকান্দা গ্রামের পেঁয়াজের বীজ চাষী গাফফার মুন্সী এ বছর তিন বিঘা জমিতে বীজ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় এ বছর খরচ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার মত হবে বলে তিনি জানান।
একই গ্রামের পেঁয়াজের বীজ চাষী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফলন ভালো হলে খরচ কোন বিষয় না।
ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদী মহল্লার বসার মাতুব্বর বলেন, মাদের অঞ্চলের চাষীরা পেঁয়াজের বীজ ছাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে ভালো আছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, ভাঙ্গা এলাকার পৎএয়াজের বীজ এর মান বেশ ভালো। চাষীরাও বীজ চাষে লাভবান হচ্ছে। এ বছর মাঠে বীজ ক্ষেতের অবস্থা ভাল।