মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীতে পার্টিতে অংশ নিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মাদক নেয়ার কথা স্বীকার করলে রোববার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এমন খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার।
সেখানে দাবি করা হয়, মাদক নেয়ার কথা স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশ করেন আরিয়ান। তিনি বলেন, মাদক নিয়ে ভুল করেছেন। এও বলেন, এর আগে কখনও এমন কিছু করেননি তিনি।
এনসিবি সূত্রের খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে শাহরুখপুত্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলতেন, যোগাযোগ রাখতেন- এসব কিছুই এখন আতসকাচের তলায়।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে ভারতের বিখ্যাত আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন শাহরুখ। এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি খান পরিবারের কোনো সদস্য।
উল্লেখ্য, আরিয়ানের সঙ্গে আটক করা হয় আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধর্মেচা, ইশমিত সিংহ, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রম ছোকার এবং গোমিত চোপড়াকে। শনিবার রাতের মাদক পার্টিতে ছিলেন তারা প্রত্যেকেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ছেলেকে বাঁচাতে নাকি এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন শাহরুখ খান। ‘পাঠান’ ছবির একটি গানের কাজের জন্য স্পেনে যাওয়ার কথা ছিল শাহরুখের। জানা যায়, আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছেন তিনি।
এরইমধ্যে শাহরুখ যোগাযোগ করেছেন ভারতের বিখ্যাত আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডের সঙ্গে। সতীশের প্রতিনিধিরা পৌঁছে গেছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দপ্তরে। গ্রেপ্তারের জল্পনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বয়ান রেকর্ড করার দু’তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হতে পারেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান।
শাহরুখের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একজন বলেছেন, ‘শাহরুখ এ বিষয়ে সামনে এসে কোনো কথা বলবেন বলে মনে হয় না। এনসিবি আরিয়ানকে নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেই শাহরুখের আইনি পথে হাঁটার একাধিক রাস্তা খুলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলে আটক হওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গৌরী। কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল তারও। আপাতত শাহরুখের সঙ্গে শহরে থাকবেন গৌরী। দুঃসময়ে ছেলের পাশে থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।’