ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লকডাউন বাড়বে, ঈদের আগে গণপরিবহন চলবে সীমিত!

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ৩৬৪ Time View

করোনা মহামারি বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন বাড়ানো এবং ঈদের আগে গণপরিবহন সীমিত আকারে খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সারকার। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ৫ তারিখে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সাপ্তাহিক এবং নির্ধারিত বন্ধ ছাড়া এ বিধিনিষেধ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে মাত্র ৩ দিন। এ জন্য বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা কম। বরং চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। একইসাথে ঈদের আগে সীমিত আকারে গণপরিবহন খুলে দেয়ারও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঈদের আগে যেহেতু কর্মদিবস কম সেহেতু বিধিনিষেধ চলমান রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হতে পারে।

যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ শেষে বৃহস্পতিবার ৬ মে প্রথম কর্মদিবস। এরপর ৭ ও ৮ মে শুক্র-শনিবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। ৯ মে রোববার এক দিন কর্মদিবস থাকলেও পরেরদিন ১০ মে সোমবার শবে কদরের ছুটি। এর পরদিন ১১ মে মঙ্গলবার কর্মদিবস হলেও ১২ মে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। সে হিসেবে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে মাত্র তিন দিন।

এমন প্রেক্ষাপটে অভিন্ন কথা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আরেক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কিছু শর্ত শিথিল করে বিধিনিষেধ বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন,‘বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

সর্বশেষ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কয়েকটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের সময় বাড়ানো হলো।

Tag :
জনপ্রিয়

লকডাউন বাড়বে, ঈদের আগে গণপরিবহন চলবে সীমিত!

Update Time : ০৫:০৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

করোনা মহামারি বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন বাড়ানো এবং ঈদের আগে গণপরিবহন সীমিত আকারে খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সারকার। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ৫ তারিখে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সাপ্তাহিক এবং নির্ধারিত বন্ধ ছাড়া এ বিধিনিষেধ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে মাত্র ৩ দিন। এ জন্য বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা কম। বরং চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। একইসাথে ঈদের আগে সীমিত আকারে গণপরিবহন খুলে দেয়ারও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঈদের আগে যেহেতু কর্মদিবস কম সেহেতু বিধিনিষেধ চলমান রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হতে পারে।

যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ শেষে বৃহস্পতিবার ৬ মে প্রথম কর্মদিবস। এরপর ৭ ও ৮ মে শুক্র-শনিবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। ৯ মে রোববার এক দিন কর্মদিবস থাকলেও পরেরদিন ১০ মে সোমবার শবে কদরের ছুটি। এর পরদিন ১১ মে মঙ্গলবার কর্মদিবস হলেও ১২ মে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। সে হিসেবে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে মাত্র তিন দিন।

এমন প্রেক্ষাপটে অভিন্ন কথা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আরেক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কিছু শর্ত শিথিল করে বিধিনিষেধ বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন,‘বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

সর্বশেষ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কয়েকটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের সময় বাড়ানো হলো।