চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তুলছেন লিটন দাস। দলের বিপদের সময় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন তিনি। লিটনের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটিটা জমে গিয়েছিল। দুজনের কল্যাণে বাংলাদেশ আশা দেখছিল বড় সংগ্রহের। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে আবারও কঠিনই হয়ে পড়ল।
তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন আফিফ হোসেন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লিটন করেছেন ১১০ বলে ১০০ রান।
এই ম্যাচে নেই তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি চোটে আক্রান্ত। দেশে ফিরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই খেলোয়াড়কে না পেলেও সাফল্য পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে প্রতিপক্ষকে নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক।
গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৬ ম্যাচ জিতেছি আমরা, তবে আমাদের লড়াই করতে হয়েছে। এমন না যে গেলাম আর জিতলাম। এমনও পরিস্থিতি ছিল, লড়াই করে সেসব জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয়, এখানে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। এর আগে ১৬ ম্যাচ ছিল দেশের মাটিতে।’
সতর্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘জিম্বাবুয়েতে বোলাররা সকালে শুরুতে সুবিধা পাবে, বিশেষ করে প্রথম ঘণ্টায়। এটা চ্যালেঞ্জিং হবে যদি আগে ব্যাট করি। আগে ব্যাট করলে সাবধান থাকতে হবে। আগে বোলিং করলে প্রথম এক ঘণ্টা কাজে লাগাতে হবে।’
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে এটি হচ্ছে ৭৬তম ওয়ানডে। দুদল এর আগে ৭৫টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে জয়ের পাল্লা ভারী টাইগারদের দিকেই। রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা জিতেছে ৪৭ ম্যাচে, জিম্বাবুয়ের জয় ২৮ ম্যাচে। দুদলের এ লড়াইয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা নজর রাখতে পারেন তামিম ইকবাল, ব্রেন্ডন টেইলর ও সাকিব আল হাসানের দিকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪১ ওয়ানডেতে তামিমের সংগ্রহ এক হাজার ৬৮৪ রান।
অন্যদিকে ৫৩ ম্যাচে টেইলর বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন এক হাজার ৪১০ রান। সাকিবের ৪৫ ম্যাচে রান এক হাজার ৪২৩। বোলিংয়ে সাকিব সবার থেকে এগিয়ে। তার শিকার ৭৪ উইকেট।