ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকরা খাবার নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন

অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ শিক্ষকরা, মরতেও রাজি শাবি শিক্ষার্থীরা 

ভিসির বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষকরা খাবার নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এদিকে শাবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে নাগরিক ছাত্র ঐক্য রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করেছে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাবি প্রক্টর আলমগীর কবির, সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল, ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষ মুনিরুজ্জামান সোহাগ বাসভবনে আটকা পড়া উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে যান।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলো রোডে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা তাদের পথ আটকে মানবপ্রাচীর তৈরি করেন। তারা ‍পুলিশ ছাড়া এই প্রাচীর ভেদ করে কেউ উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে যেতে পারবেন না এ শর্ত জুড়ে দেন।

শিক্ষক প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের অনেক অনুরোধ করেও আর সামনে এগুতে পারেননি। এমনকি অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য আনা খাবারও তারা গ্রহণ করেননি।

অবশেষে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষকরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। শিক্ষকরা চলে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।

গত রবিবার সন্ধ্যায় শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাকে পরিপূর্ণ অবরুদ্ধ রাখবেন।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষকরা খাবার নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন

Update Time : ০৫:২৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ শিক্ষকরা, মরতেও রাজি শাবি শিক্ষার্থীরা 

ভিসির বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষকরা খাবার নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এদিকে শাবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে নাগরিক ছাত্র ঐক্য রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করেছে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাবি প্রক্টর আলমগীর কবির, সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল, ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষ মুনিরুজ্জামান সোহাগ বাসভবনে আটকা পড়া উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে যান।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলো রোডে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা তাদের পথ আটকে মানবপ্রাচীর তৈরি করেন। তারা ‍পুলিশ ছাড়া এই প্রাচীর ভেদ করে কেউ উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে যেতে পারবেন না এ শর্ত জুড়ে দেন।

শিক্ষক প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের অনেক অনুরোধ করেও আর সামনে এগুতে পারেননি। এমনকি অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য আনা খাবারও তারা গ্রহণ করেননি।

অবশেষে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষকরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। শিক্ষকরা চলে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।

গত রবিবার সন্ধ্যায় শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাকে পরিপূর্ণ অবরুদ্ধ রাখবেন।