গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ-পুত্রকে আটক করে এনসিবির একটি দল। ওই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। টুইটারের দেয়ালে উদ্ধব সরকারের সংখ্যা লঘু উন্নয়ন মন্ত্রী লেখেন, আমি বিশেষ তদন্তকারী দলের দ্বারা সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবী করেছিলাম, আরিয়ান খানকে কিডন্যাপ এবং পরিবর্তে টাকা আদায়ের চেষ্টার জন্য। এবার দুটো বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে (রাজ্য ও কেন্দ্রের)। দেখা যাক কে সমীর ওয়াংখেড়ের আলমারি থেকে কঙ্কাল বার করে আনে।
হিন্দুস্তান টাইমসে মালিক জানান, ওয়াংখেড়ে আরিয়ানকে কিডন্যাপ করে, ড্রাগস মামলায় ওকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু উনার প্ল্যান ফেল হয়ে গিয়েছে’।
আরিয়ান মামলার পঞ্চনামায় উল্লেখিত সাক্ষ প্রভাকর সেইল হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের শুনানির দু-দিন আগে নিজের বয়ান থেকে সরে দাঁড়ান। এবং এনসিবির জোনাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে সাদা পাতাই সই করিয়ে নেওয়া-সহ বেশ কিছু অভিযোগ আনে। এরপরই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মুম্বাই পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়। পরবর্তীতে এনসিবির তরফেও ভিজিলেন্স তদন্ত চালানো হচ্ছে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে।
দায়িত্ব হারালেন আরিয়ানকে আটক করা সমীর ওয়াংখেড়ে
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের মাদক মামলার প্রধান তদন্তকারীর দায়িত্ব হারিয়েছেন ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) আঞ্চলিক পরিচালক (মুম্বাই প্রধান) সমীর ওয়াংখেড়ে। ভারতীয় শীর্ষ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার আরিয়ানসহ পাঁচটি হাইপ্রোফাইল মাদক মামলা দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে বলিউড মাদককাণ্ডে আলোচিত এই কর্মকার্তাকে। এই মামলার দায়িত্ব পেয়েছেন এনসিবির দিল্লির বিশেষ টিম; যার প্রধান সঞ্জয় সিং।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টের জেনারেল মুথা অশোক জৈন জানিয়েছেন, সমীর ওয়াংখেড়ে এনসিবির আঞ্চলিক পরিচালক পদে থাকবেন এবং অন্য সকল মামলা দায়িত্ব পালন করবেন।
মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার দেখায় এনসিবি। এরপর থেকে নতুন করে আলোচনায় আসেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে মামলা মিমাংসা, অর্থের বিনিময়ে সাক্ষী জোগাড়, জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকরি নেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ উঠে। যার মধ্যে ঘুষ লেনদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
এই প্রসঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ের ভাষ্য, ‘তদন্তকারী দল থেকে আমাকে অপসারিত করা হয়নি। আদালতেই রিট পিটিশনে জানিয়েছিলাম যে এই তদন্তভার কেন্দ্রীয় টিমের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এবার থেকে আরিয়ান খান কেস এবং সমীর খান কেস দিল্লি এনসিবির বিশেষ দলের দায়িত্বে থাকবে। এটা এনসিবির দিল্লি ও মুম্বাই টিমের মধ্যেকার সমঝোতা’।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস