বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশে অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে সিনেসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বুধবার ঢাকার রমনায় বিটিআরসির কার্যালয়ে এ চুক্তি সই হয়।
সিনেসিস আইটি জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী ৯ জুনের মধ্যে তাদের অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করার কথা। তবে তারা আগামী মার্চের মধ্যেই করার জন্য কাজ করছে। সিনেসিসের সঙ্গে এ প্রকল্পে কাজ করবে রেডিসন টেকনোলজিস ও কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডি নামের দুই প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করতে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নামের এই ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। নকল মুঠোফোন, অবৈধ আমদানি, চুরি ও রাজস্ব ক্ষতি রোধে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু করছে বিটিআরসি। এর মাধ্যমে দেশে বৈধভাবে আমদানি ও উৎপাদিত মুঠোফোনের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু হওয়া ফোনের আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) মিলিয়ে দেখা হবে।
অবৈধ, চুরি যাওয়া ও নকল মুঠোফোন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, কমিশনার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শহীদুল আলম, পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল, উপপরিচালক সঞ্জীব কুমার সিংহ, সিনেসিস আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে আসা, কারও উপহার বা অনলাইনে কেনা মুঠোফোনের ক্ষেত্রে কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট কর্মমর্তা জানান
এনইআইআর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুঠোফোন কেনার রসিদ যাচাই করে নিবন্ধন দেওয়া হবে। বিদেশ থেকে উপহার পাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রমাণ দেখাতে হবে। একই ব্যক্তি বারবার উপহার দিচ্ছেন, তা দেখানো যাবে না।
আর একটি প্রশ্ন বাজারে আগে যে মুঠোফোন রয়েছে বা সাধারণ গ্রাহক যে সেটগুলো ব্যবহার করছেন, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে?
করা হলে তিনি জানান ২০১৯ সালের ১ আগস্টের আগে মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত এবং ওই সময়ের পরে বৈধ পথে আমদানি অথবা দেশে উৎপাদিত মুঠোফোনের তথ্য বিটিআরসির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এর বাইরে কোনো অবৈধ মুঠোফোন থাকলে সে বিষয়ে কমিশন পরে সিদ্ধান্ত নেবে।