ফরিদপুরে ধান চাষী, চাল কল মালিক, ধান ও চাল বিক্রেতাদের নিয়ে রাইচ গেইন ভেলুচেইন এক্টর মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিটিং-এ ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার ৫০জন ধান চাষী, চাল কল মালিক, ধান ও চাল বিক্রেতা ও কৃষক অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার(১০ জুন) শহরের টেপাখোলা খামার বাড়ি হলরুমে অনুষ্ঠিত রাইচ গেইন ভেলুচেইন এক্টর মিটিং-এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ হযরত আলী,বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ শাহাদত হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফজাল হোসেন।আলোচনায় অংশ নেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার, হারভেস্ট প্লাস এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ জাহিদুল হোসাইন, পিও মোঃ রুহুল কুদ্দুস , একেকে’র প্রগ্রাম কো-অডিনেটর এম এ কুদ্দুস মিয়া, এবং আইটি অফিসার মোঃ রাশেদুজ্জামান মিরাজ।
সভায় প্রধান অতিথি ড. মোঃ হযরত আলী বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ধান থেকে উৎপাদিত প্রতি কেজি চালে ২৪ থেকে.২৮ মিলিগ্রাম জিংক পওেয়া য়ায় যা শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ জিংকের চাহিদা পূরণ করতে পারে। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জিংক চাউল, বাংলাদেশের ৫ বছরের কম বয়সের শতকরা ৩৬ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ মহিলারা জিংকের অভাবে ভুগছেন যা দৈনিক জিংক চালের ভাত খাওয়ার মাধ্যমে পূরন করা সম্ভব। ১৫ থেকে ১৯ বছরের শতকরা ৪৪ ভাগ মেয়েরা ঝিংকের অভাবে খাটো হয়ে যাচ্ছে।তাই সুস্থ্য থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ করতে আমাদের জিংক চালের ভাত খাওয়ার উপর জোড় দিতে হবে।
হারভেস্ট প্লাস এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ জাহিদুল হোসাইন বলেন, নিয়মিত মানব দেহে জিংক এর চাহিদা পূরণে গবেষকরা ধানের মধ্যে জিংকের পুষ্টিগুন দিয়ে ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই ধান সারা দেশে ব্যাপী উৎপাদন করে জিংকের ঘাটতি দূর করতে হবে। তিনি বলেন,ধান চাষী, চাল কল মালিক, ধান ও চাল বিক্রেতা ও কৃষকদের সমন্বয় ঘটিয়ে জিংক চাল মাকেটিং করাই রাইচ গেইন ভেলুচেইন এক্টর মিটিং এর মুল উদ্দেশ্য।