করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ফরিদপুরে সাত দিনব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ পালন সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। বিধিনিষেধ পালনের প্রথম দিনে মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের নাজেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের জেলা প্রধান খোদ পুলিশ সুপারকে রাস্তায় নেমে লোকজনকে এ বিধি নিষেধ মানাতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়েছে।
তারপরও মানুষকে ঘরে রাখতে খুব একটা সফলতা আসেনি। রিক্সা, ইজিবাইক পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সড়কে বেড় হয়েছে। তাতে যাত্রী চলাচল করেছে। অনেক যাত্রীকে চলাচলের পাশ হিসেবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের ফাইল নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে।
পুলিশ এসব রিক্সা ও ইজি বাইকের চলাচল বন্ধ করতে রিক্সার চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া, ইজি বাইকের সিট তুলে রেখে, এসব রিক্সা ও ইজিবাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের নাজেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের কষ্ট ও নাজেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনটি মোটামুটি ভাবে পালিত হয়েছে ফরিদপুর শহরে। খুব বেশি সংখ্যক মানুষ পুলিশের তৎপরতার কারনে বের হতে পারেনি।
সকাল ৬টা থেকে শহরের প্রবেশ পথের ২১টি জায়গায় বেড়িকেট দেয় পুলিশ। বিশেষত রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, মুন্সিবাজার মোড়, বেড়িবাধ এলাকার ছিল বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরের মধ্যে অনেক সড়ক বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে অভ্রন্তরীণ রুটে কোন বাস ছেড়ে যায় নি। তবে ফরিদপুর পৌরসভার বাইরে মুন্সিবাজার, বদরপুর ও কোমরপুর এলাকা থেকে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ছেড়েছে। এর কারনে বাইরে থেকে শহরের প্রবেশর স্রোত ছিল। শহরের ভিতরে রিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল করেছে বেশ কিছু।তবে পুলিশী এ্যাকশন শুরু হলে চলাচলের হার একটু কমে যায়।
শহরে দুরপাল্লার কোন বাস ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দুর পাল্লার বাসগুলি রাজবাড়ী রাস্তার মোড় হয়ে মুন্সিবাজারের দিকে বাইপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো:আলিমুজ্জামান (বিপিএম স্বাস্থ্য) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, শ্রীঅঙ্গনের সামনে, মহিম স্কুলের মোড়, লাক্সারী হোটেল, স্বর্নকুটির মার্কেটের সামনে ফরিদপুর -বরিশাল মহাসড়কের সরাসরি যানবাহন ও মানুষজনের চলাচল ঠেকাতে মাঠে নামেন।তাকে যানবাহন চলাচল এবং যাত্রী ও পথচারিদের বিভিন্ন বাহানার উত্তর শুনতে শুনতে গলদঘর্ম হতে হয়।
শহরের ভিতরে ষ্টেশন রোড, অম্বিকা সড়ক, ফরিদ শাহ সড়ক এলাকায় যানবাহন ও পথচারী বেশি ছিল। মুজিব সড়কসহ অন্যান্য সড়কে জনসমাগম কম ছিল। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও দোকান ঘরের সামনে একটু খুলে রেখে অনেক ব্যবসায়ীকে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে।