ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

টেস্ট সিরিজের পর একদিনের সিরিজও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। গতরাতে হারারেতে দ্বিতীয় একদিনের মাচে তিন উইকেটের জয়। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত টাইগারদের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে ২৪০ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে পাঁচ বল হাতে রখেই সাত উইকেটে ২৪২ রান বাংলাদেশের। আট বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসান।
জয়ের জন্য ২৪১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে  নেমে প্রথম ওভারে বাংলাদেশের দুই ওপেনার কোনো রান নিতে পারেননি। মুজুরাবানির পরের ওভারের তৃতীয় বলে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের সূচনা তামিমের। পঞ্চম বলে কাভার দিয়ে আরেক বাউন্ডারি। পরের ওভারে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন। ১১ বল পর রান পেলেন এ ওপেনার। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে থাকলেও ক্রমেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। দলীয় ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ, জঙ্গির বলে পয়েন্টে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম (৩৪ বলে ২০ রান)। লিটনের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। দলের স্কোর হাফ সেঞ্চুরির ঘরে পৌঁছার আগেই ফেরেন লিটন, আগের ওভারে রানআউট থেকে বেঁচে গেলেও, এনগারাভার বলে মিড উইকেটে টেলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চার বাউন্ডারিতে ৩৩ বলে ২১ রান করে। সাকিবের সঙ্গী হন মিথুন। তবে দলকে টানতে পারেননি বেশিদূর। জঙ্গির বলে মাধবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দুই রানে। এরপর সৈকতও (নয় বলে পাঁচ রান) ফেরেন দ্রুত। দলের বিপর্যয়ে সাকিবের সঙ্গে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৪তম ওভারে শতরান আসে বাংলাদেশের ইনিংসে।
৫৬ রানের ইনিংস গড়ে ভাঙ্গে সাকিব-মাহমুদউল্লার জুটি। প্রথম পাঁচ ওভারে উইকেট শূন্য থাকলেও, ২৯তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে এসে ফেরান মাহমুদউল্লাহকে (৩৫ বলে ২৬ রান)। হাফ সেঞ্চুরির প্রান্তে থাকা সাকিবের সঙ্গে যোগ দেন মিরাজ। ৫৯ বলে ছয় বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি করেন দীর্ঘসময় রান খড়ায় থাকা সাকিব। দলীয় ১৪৫ রানে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন মিরাজ, ১৫ বলে ছয় রান করে বিদায় মিরাজের। তখনও প্রয়োজন ৯৬ রানের। শেষ ১৫ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেটি ছিল ৮৪ রান। দলীয় ১৭৩ রানে আফিফ (২৩ বলে ১৫) সিকান্দার রাজার বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে চাকাভার হাতে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন। স্বাগতিক শিবিরে উৎসব শুরু হয়ে যায়। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬১ রানের, শেষ পাঁচ ওভারে ৩১ রান। শেষ ১২ বলে টার্গেট ১২ রানের, সেঞ্চুরি পূর্ণ হতে সাকিবের প্রয়োজন ১০ রান। তবে মেঞ্চুরি পূর্ণ না হলেও ধরকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এ বিশ^সেরা অলরাউন্ডার। ৬৯ রানের  অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে সাইফউদ্দিনের সংগ্রহ ২৮ রান।
এর আগে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের সামনে ২৪১ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিকরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে দাঁড়ানো আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ধরা পড়েছেন ডানহাতি ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামুই (পাঁচ বলে একরান)। সাইফউদ্দিনের করা চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারিতে ১০ রান তুলে ড্রেসিংরুমে ইতিবাচক বার্তা দেন আগের ম্যাচে দলের পক্ষে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ার চাকাভা। তাসকিনের করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড অনে মাহমুদউল্লাহ ও ডিপ থার্ড ম্যানে মারুমানির ক্যাচ ছেড়ে দেন সাইফউদ্দিন। জোড়া জীবন পেয়েও কিছুই করতে পারেননি মারুমানি। ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন মিরাজ। প্রথম চার বল খেলেন চাকাভা। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পেয়েই বড় শটের চেষ্টা করেন মারুমানি। কিন্তু বল তার ব্যাট ও পা হয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ১৮ বলে ১৩ রানের ইনিংসের।
মাত্র ৩৩ রানে জোড়া উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন টেলর। শুরু থেকেই খেলতে থাকেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। বিশেষ করে সাকিবের ওভারে ইনসাইড আউট শটে বাউন্ডারি কিংবা শরিফুল ইসলামের ওভারে ফ্লিক শটে ছক্কা মেরে নিজের কর্তৃত্বেরই জানান দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেট জুটিটি এগোচ্ছিল পঞ্চাশ রানের দিকে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে সরাসরি বোল্ড করে আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান চাকাভাকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে বল স্ট্যাম্পে আঘাত করান তিনি। ৩২ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২৬ রান করেছেন চাকাভা।
এরপরই প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়িয়ে যান ব্রেন্ডন টেলর এবং ডিওন মায়ার্স। টেলর ৪৬ রান করার পর হিট উইকেট হয়ে বিদায়, বোলার ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ডিওন মায়ার্সও বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন। ৫৯ বলে ৩৪ রান করে মায়ার্স আউট হন সাকিব আল হাসানের বলে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মায়ার্স। হাফ সেঞ্চুরি করার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মাধভিরে। শরিফুল ইসলামের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। সিকান্দার রাজা মাধভিরের সঙ্গে ভালো একটা জুটি গড়েন। ৪৪ বলে তিনি করেন ৩০ রান। লুক জংউই ৮ রান করে আউট হন। তেন্দাই চাতারা ৪ এবং রিচার্ড এনগারাভা অপরাজিত থাকেন ৭ রান করেন।
১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা চার উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দুই উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং তাসকিন আহমেদ।
Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

Update Time : ০৪:১৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
টেস্ট সিরিজের পর একদিনের সিরিজও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। গতরাতে হারারেতে দ্বিতীয় একদিনের মাচে তিন উইকেটের জয়। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত টাইগারদের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে ২৪০ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে পাঁচ বল হাতে রখেই সাত উইকেটে ২৪২ রান বাংলাদেশের। আট বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসান।
জয়ের জন্য ২৪১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে  নেমে প্রথম ওভারে বাংলাদেশের দুই ওপেনার কোনো রান নিতে পারেননি। মুজুরাবানির পরের ওভারের তৃতীয় বলে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের সূচনা তামিমের। পঞ্চম বলে কাভার দিয়ে আরেক বাউন্ডারি। পরের ওভারে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন। ১১ বল পর রান পেলেন এ ওপেনার। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে থাকলেও ক্রমেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। দলীয় ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ, জঙ্গির বলে পয়েন্টে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম (৩৪ বলে ২০ রান)। লিটনের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। দলের স্কোর হাফ সেঞ্চুরির ঘরে পৌঁছার আগেই ফেরেন লিটন, আগের ওভারে রানআউট থেকে বেঁচে গেলেও, এনগারাভার বলে মিড উইকেটে টেলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চার বাউন্ডারিতে ৩৩ বলে ২১ রান করে। সাকিবের সঙ্গী হন মিথুন। তবে দলকে টানতে পারেননি বেশিদূর। জঙ্গির বলে মাধবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দুই রানে। এরপর সৈকতও (নয় বলে পাঁচ রান) ফেরেন দ্রুত। দলের বিপর্যয়ে সাকিবের সঙ্গে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৪তম ওভারে শতরান আসে বাংলাদেশের ইনিংসে।
৫৬ রানের ইনিংস গড়ে ভাঙ্গে সাকিব-মাহমুদউল্লার জুটি। প্রথম পাঁচ ওভারে উইকেট শূন্য থাকলেও, ২৯তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে এসে ফেরান মাহমুদউল্লাহকে (৩৫ বলে ২৬ রান)। হাফ সেঞ্চুরির প্রান্তে থাকা সাকিবের সঙ্গে যোগ দেন মিরাজ। ৫৯ বলে ছয় বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি করেন দীর্ঘসময় রান খড়ায় থাকা সাকিব। দলীয় ১৪৫ রানে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন মিরাজ, ১৫ বলে ছয় রান করে বিদায় মিরাজের। তখনও প্রয়োজন ৯৬ রানের। শেষ ১৫ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেটি ছিল ৮৪ রান। দলীয় ১৭৩ রানে আফিফ (২৩ বলে ১৫) সিকান্দার রাজার বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে চাকাভার হাতে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন। স্বাগতিক শিবিরে উৎসব শুরু হয়ে যায়। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬১ রানের, শেষ পাঁচ ওভারে ৩১ রান। শেষ ১২ বলে টার্গেট ১২ রানের, সেঞ্চুরি পূর্ণ হতে সাকিবের প্রয়োজন ১০ রান। তবে মেঞ্চুরি পূর্ণ না হলেও ধরকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এ বিশ^সেরা অলরাউন্ডার। ৬৯ রানের  অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে সাইফউদ্দিনের সংগ্রহ ২৮ রান।
এর আগে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের সামনে ২৪১ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিকরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে দাঁড়ানো আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ধরা পড়েছেন ডানহাতি ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামুই (পাঁচ বলে একরান)। সাইফউদ্দিনের করা চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারিতে ১০ রান তুলে ড্রেসিংরুমে ইতিবাচক বার্তা দেন আগের ম্যাচে দলের পক্ষে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ার চাকাভা। তাসকিনের করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড অনে মাহমুদউল্লাহ ও ডিপ থার্ড ম্যানে মারুমানির ক্যাচ ছেড়ে দেন সাইফউদ্দিন। জোড়া জীবন পেয়েও কিছুই করতে পারেননি মারুমানি। ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন মিরাজ। প্রথম চার বল খেলেন চাকাভা। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পেয়েই বড় শটের চেষ্টা করেন মারুমানি। কিন্তু বল তার ব্যাট ও পা হয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ১৮ বলে ১৩ রানের ইনিংসের।
মাত্র ৩৩ রানে জোড়া উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন টেলর। শুরু থেকেই খেলতে থাকেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। বিশেষ করে সাকিবের ওভারে ইনসাইড আউট শটে বাউন্ডারি কিংবা শরিফুল ইসলামের ওভারে ফ্লিক শটে ছক্কা মেরে নিজের কর্তৃত্বেরই জানান দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেট জুটিটি এগোচ্ছিল পঞ্চাশ রানের দিকে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে সরাসরি বোল্ড করে আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান চাকাভাকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে বল স্ট্যাম্পে আঘাত করান তিনি। ৩২ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২৬ রান করেছেন চাকাভা।
এরপরই প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়িয়ে যান ব্রেন্ডন টেলর এবং ডিওন মায়ার্স। টেলর ৪৬ রান করার পর হিট উইকেট হয়ে বিদায়, বোলার ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ডিওন মায়ার্সও বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন। ৫৯ বলে ৩৪ রান করে মায়ার্স আউট হন সাকিব আল হাসানের বলে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মায়ার্স। হাফ সেঞ্চুরি করার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মাধভিরে। শরিফুল ইসলামের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। সিকান্দার রাজা মাধভিরের সঙ্গে ভালো একটা জুটি গড়েন। ৪৪ বলে তিনি করেন ৩০ রান। লুক জংউই ৮ রান করে আউট হন। তেন্দাই চাতারা ৪ এবং রিচার্ড এনগারাভা অপরাজিত থাকেন ৭ রান করেন।
১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা চার উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দুই উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং তাসকিন আহমেদ।