ফরিদপুরে পদ্মা নদী-সংলগ্ন জলাশয় থেকে উদ্ধার হওয়া কুমিরটি গাজিপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে।
প্রায় ১৭ দিন ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার ছালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের ফালুর কুম থেকে সোমবার দুপুরে কুমিরটিকে জালে আটকায় গ্রামবাসী।
এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় কুমিরটি নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরী। রাতে বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে কুমিরটিকে রাখার পর দিন মঙ্গলবার কুমিরটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, কুমিরটি উদ্ধারের পর সেটি ফরিদপুর থেকে প্রথমে খুলনার ছোট বয়রায় বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেয়া হয়। সেখানে কুমিরটির শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি মেয়ে জাতের। এর দৈর্ঘ্য সাত ফুট ও প্রস্থ দেড় ফুট। ওজন প্রায় ৮০ কেজি। এরপর সেটি গাজীপুরে নিয়ে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি জানান, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আরো তিনটি পুরুষ কুমির রয়েছে। যার দু’টি বৃদ্ধ হওয়ায় প্রজনন সক্ষমতা হারিয়েছে। তবে ২০১৬ সালে মাগুরার মধুমতি নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ১৪ বছরের অপর কুমিরটির সাথে উদ্ধার হওয়া এই কুমিরটির মিলন ঘটিয়ে এর বংশবিস্তার সম্ভব।
ফরিদপুরের পদ্মা নদীর জলাশয় থেকে উদ্ধার হওয়া কুমিরটি বিরল প্রজাতির মিঠা পানির কুমির বলে বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। এ কারণে শুরু থেকেই তারা আশা করেছিলেন, এই কুমিরটি নারী প্রজাতির হলে সেটি সাফারি পার্কে নিয়ে বিলুপ্তপ্রায় এই মিঠা পানির কুমিরের নতুন করে বংশবিস্তার সম্ভব হতে পারে।