৭০০ বছরের পুরোনো দুর্গে বসছে ভিকি-ক্যাটরিনার রাজকীয় বিয়ের আসর। এই রয়্যাল ওয়েডিং নিয়ে চর্চার শেষ নেই সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু গোপনীয়তা বজায় রাখতে কোনও প্রচেষ্টায় খামতি রাখেননি ক্যাটরিনা-ভিকি। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। কেউ মজা করে বলছেন, এটা বিয়ে নাকি ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর মিটিং? কেউ আবার বলছেন, প্রাক্তনের নজর থেকে বাঁচতেই এতো বাড়াবাড়ি।
এই বিয়েতে আমন্ত্রিত ১২০জনকে নাকি রীতিমতো চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়েছেন ক্যাটরিনা-ভিকি। বিয়েবাড়িতে ফোন নন অ্যালাউড, ঢুকতে হলে জানাতে হবে সিক্রেট কোড, যা প্রত্যেক অতিথির জন্য ধার্য করা হয়েছে। ভেন্যু সম্পর্কে কোনও তথ্য বাইরে চালান করা যাবে না, আরো কত্তো কী!
এর মাঝেই এই হাই প্রোফাইল বিগ ফ্যাট ওয়েডিং নিয়ে মশকরা করল এক নামী কন্ডোম ব্র্যান্ড। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেই ব্র্যান্ডের ভিক্যাটের উদ্দেশে বার্তা, ‘প্রিয়, ক্যাটরিনা ও ভিকি তোমরা আমাদের যদি আমন্ত্রণ না জানাও তাহলে কিন্তু সেটা বিরাট হাসির খোরাক হয়ে যাবে’। সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘তোমাদের বিয়েতে শ্লেষ এবং ঢোকবার অনুমতি দুটোই একান্ত কাম্য’।
ওই কন্ডোম সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটিজেনরা। বিদ্যুত গতিতে ভাইরাল এই পোস্ট। সবার দাবি, অবিলম্বে তার বেতন বাড়ানো উচিত যাঁর মাথা থেকে এই পোস্টটা বেরিয়েছে।
কাঁচের কাজ করা পালকিতে চড়ে বিয়ের মণ্ডপে আসেন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা। ফুল দিয়ে সাজানো হয় কনের পালকি। অন্যদিকে সাদা ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে আসেন ভিকি। রাজস্থানের বারওয়ারা ফোর্টে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন।
বিয়েতে চূড়ান্ত গোপনীয়তার আশ্রয় নিয়েছিলেন ভিক্যাট। বিয়ের কোনো ছবি যেন ফাঁস না হয় সে জন্য অতিথির প্রবেশের জন্য গোপন কোডও রেখেছিলেন এই যুগলতারকা। তবে এতো কিছুর পরও শেষ রক্ষা হলো না। বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের শুরুতেই বর ও নববধূর সাজে ভিক্যাটের ছবি ও ভিডিও ‘ফাঁস’ হলো।
বিয়ে নিয়ে যে পরিমাণ গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন ক্যাটরিনা-ভিকি তাতে হতবাক সকলেই। কিন্তু এতো গোপনীয়তার মাঝেও ছবি শিকারিদের নজর এড়াল না বর-কনে। দূর থেকে জুম করেই বর-কনের বেশে লেন্সবন্দি হলেন ভিকি-ক্যাটরিনা।