ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ফরিদপুরে ক্যাশলেস বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার গাজার মতো ইউক্রেনের যুদ্ধ থামিয়ে দিতে ট্রাম্পকে জেলেনস্কির অনুরোধ দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ অক্টোবর বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে ইসরায়েলি সেনারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মাটিতে ছুড়ে ফেলে: শহিদুল আলম গাজাবাসীদের ওপর যে নির্যাতন হয়, তার তুলনায় আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা কিছুই নয় ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো

করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ৮৩৭৪

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩৯৯ Time View

মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৩৯৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ১১৬ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮২৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৭ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ১৭ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৮টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৪টি ল্যাবে ১২ হাজার ৭৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৫২৪টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ২ হাজার ৩৬২টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ও ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৩৭৪ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৩৫ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৩৯ জন নারী।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ৮৩৭৪

Update Time : ১১:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৩৯৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ১১৬ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮২৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৭ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ১৭ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৮টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৪টি ল্যাবে ১২ হাজার ৭৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৫২৪টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ২ হাজার ৩৬২টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ও ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৩৭৪ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৩৫ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৩৯ জন নারী।