ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আগামী ১২ অক্টোবর ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফরিদপুর: ডিসি’র স্বাক্ষর জাল! বিপাকে প্রধান শিক্ষক টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে সরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে খুলেছে চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেও ইসরাইল তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে, নিহত ১০ ফিলিস্তিনি গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার চায় হামাস ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ডলার অতিক্রম করেছে বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক শহিদুল আলমকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েলকে এখনো অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে একাধিক দেশ ও প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৭ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

ফরিদপুরে নার্সিং কলেজের ইনচার্জকে অবরুদ্ধ, পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে ফরিদপুরের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর থেকে তাকে কলেজটির ইনচার্জের নিজ কক্ষেই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এসময় তার (ইনচার্জ) সময়কার দুর্নীতি ও অনিয়মের সকল টাকা ফেরত প্রদানের পাশাপাশি রোকেয়ার পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই সাথে দুর্নীতির অভিযোগে কলেজটির প্রধান সহকারী উজ্জ্বল শেখেরও পদত্যাগ দাবি করা হয়। অন্যদিকে, কলেজটির পিয়ন নুরুল হক নূর ও গাড়ী চালক কাজী পিনুকে অনতিবিলম্বে অন্যত বদলী করার দাবি তোলে ওই শিক্ষার্থীরা।
পাশেই শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগানে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এসময় ইনচার্জকে ভূয়া ভূয়া বলতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
কলেজটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা একজন দুর্নীতিবাজ লোক। তিনি কলেজটির ভর্তির রশিদ বাণিজ্য, ধর্মীয় উৎসবের নাম ভাঙিয়ে ও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া, শিক্ষার্থীদের ড্রেস (পোশাক) কেনার টাকার নয়ছয়, বিভিন্ন অজুহাতে নানা উপায়ে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ, কলেজটিতে মেডিকেল বোর্ড ফি’র নামে ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আর এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সহযোগিতা করেছেন কলেজটির প্রধান সহকারী উজ্জ্বল শেখ, পিয়ন নুরুল হক নূর ও গাড়ী চালক কাজী পিনু।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কলেজটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুমান মিয়া বলেন, “কলেজটির ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা এ কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের ২৩ লক্ষ টাকা নয়ছয় করেছেন। এছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমরা তার পদত্যাগ চাই। সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ইনচার্জ চাই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।’
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও কলেজটির শিক্ষার্থী অনন্যা মিতু বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি এই দুর্নীতিবাজ ইনচার্জের পদত্যাগ চাই। সাথে দুর্নীতির সকল টাকা ফেরত চাই। ওনি পদত্যাগ না করলে ও সকল দুর্নীতির টাকা ফেরত না দিলে ওনাকে ছাড়া হবেনা।’
এসকল অভিযোগের ব্যাপারে কলেজটির ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা কিছু অভিযোগ সঠিক হলেও সব অভিযোগ ঠিকনা। আমি কলেজের অর্থিক সংক্রান্ত অনেক কিছুই জানতাম না। সেগুলো কলেজের প্রধান সহকারী, পিয়ন ও ড্রাইভার করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’
Tag :
জনপ্রিয়

আগামী ১২ অক্টোবর ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ফরিদপুরে নার্সিং কলেজের ইনচার্জকে অবরুদ্ধ, পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের

Update Time : ০১:২৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে ফরিদপুরের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর থেকে তাকে কলেজটির ইনচার্জের নিজ কক্ষেই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এসময় তার (ইনচার্জ) সময়কার দুর্নীতি ও অনিয়মের সকল টাকা ফেরত প্রদানের পাশাপাশি রোকেয়ার পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই সাথে দুর্নীতির অভিযোগে কলেজটির প্রধান সহকারী উজ্জ্বল শেখেরও পদত্যাগ দাবি করা হয়। অন্যদিকে, কলেজটির পিয়ন নুরুল হক নূর ও গাড়ী চালক কাজী পিনুকে অনতিবিলম্বে অন্যত বদলী করার দাবি তোলে ওই শিক্ষার্থীরা।
পাশেই শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগানে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এসময় ইনচার্জকে ভূয়া ভূয়া বলতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
কলেজটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা একজন দুর্নীতিবাজ লোক। তিনি কলেজটির ভর্তির রশিদ বাণিজ্য, ধর্মীয় উৎসবের নাম ভাঙিয়ে ও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া, শিক্ষার্থীদের ড্রেস (পোশাক) কেনার টাকার নয়ছয়, বিভিন্ন অজুহাতে নানা উপায়ে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ, কলেজটিতে মেডিকেল বোর্ড ফি’র নামে ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আর এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সহযোগিতা করেছেন কলেজটির প্রধান সহকারী উজ্জ্বল শেখ, পিয়ন নুরুল হক নূর ও গাড়ী চালক কাজী পিনু।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কলেজটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুমান মিয়া বলেন, “কলেজটির ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা এ কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের ২৩ লক্ষ টাকা নয়ছয় করেছেন। এছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমরা তার পদত্যাগ চাই। সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ইনচার্জ চাই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।’
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও কলেজটির শিক্ষার্থী অনন্যা মিতু বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি এই দুর্নীতিবাজ ইনচার্জের পদত্যাগ চাই। সাথে দুর্নীতির সকল টাকা ফেরত চাই। ওনি পদত্যাগ না করলে ও সকল দুর্নীতির টাকা ফেরত না দিলে ওনাকে ছাড়া হবেনা।’
এসকল অভিযোগের ব্যাপারে কলেজটির ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা কিছু অভিযোগ সঠিক হলেও সব অভিযোগ ঠিকনা। আমি কলেজের অর্থিক সংক্রান্ত অনেক কিছুই জানতাম না। সেগুলো কলেজের প্রধান সহকারী, পিয়ন ও ড্রাইভার করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’