ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রায় ১৯ হাজার শিশু ইউরোপজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ, স্পেনে মৃত্যু ১,১৫০ ছাড়াল গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন করা হবে না: ট্রাম্প আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ২০ আগস্ট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ফরিদপুরের সালথায় শর্ত লঙ্ঘন করে আ.লীগ নেতার শ্যালককে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের অভিযোগ ফরিদপুরে পদ্মার পানি বেড়ে ডুবে গেছে ৩১ গ্রাম, দুর্ভোগে ১২০০ পরিবার মধুখালীতে মুক্তিপণ না পেয়ে শিক্ষার্থীকে হত্যা, আটক ২

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে সম্ভাব্য নতুন সময় ঘোষণা করেছেন তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাব্য নতুন সময় ঘোষণা করেছেন তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

শুক্রবার রাতে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণায় ‘জাতি আশ্বস্ত’ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে ‘জাতি আশা করছে’।

তার আগে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়ার ভাষণে বলেছেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে।”

গত ডিসেম্বর থেকে ইউনূস বলে আসছিলেন, নির্বাচন কবে হবে তা নির্ভর করবে সংস্কার কতটা করা হবে তার ওপর। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার সেরে ডিসেম্বরেই নির্বাচন সম্ভব। আর আরো কিছু সংস্কার করলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ভোট করা যাবে। তবে নির্বাচন জুনের পরে যাবে না, সেটাও তিনি বলেছেন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে জামায়াত নেতা শফিকুর রহমান বলেছিলেন, নির্বাচন রোজার আগে আগে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে হতে পারে। কোনো কারণে যদি না হয়, তাহলে কোনো অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর এক বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে….. তার (প্রধান উপদেষ্টা) এই ঘোষণায় জাতি আশ্বস্ত হয়েছে।

“ঘোষিত সময়ের মধ্যেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জাতি আশা প্রকাশ করছে।”

তিনি বলেন, “জাতির তীব্র আকাঙ্খা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই তিনটি বিষয়ের ভিত্তিতে এবং ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশকে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।”

Tag :

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রায় ১৯ হাজার শিশু

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে সম্ভাব্য নতুন সময় ঘোষণা করেছেন তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী

Update Time : ০৬:২৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাব্য নতুন সময় ঘোষণা করেছেন তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

শুক্রবার রাতে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণায় ‘জাতি আশ্বস্ত’ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে ‘জাতি আশা করছে’।

তার আগে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়ার ভাষণে বলেছেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে।”

গত ডিসেম্বর থেকে ইউনূস বলে আসছিলেন, নির্বাচন কবে হবে তা নির্ভর করবে সংস্কার কতটা করা হবে তার ওপর। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার সেরে ডিসেম্বরেই নির্বাচন সম্ভব। আর আরো কিছু সংস্কার করলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ভোট করা যাবে। তবে নির্বাচন জুনের পরে যাবে না, সেটাও তিনি বলেছেন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে জামায়াত নেতা শফিকুর রহমান বলেছিলেন, নির্বাচন রোজার আগে আগে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে হতে পারে। কোনো কারণে যদি না হয়, তাহলে কোনো অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর এক বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে….. তার (প্রধান উপদেষ্টা) এই ঘোষণায় জাতি আশ্বস্ত হয়েছে।

“ঘোষিত সময়ের মধ্যেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জাতি আশা প্রকাশ করছে।”

তিনি বলেন, “জাতির তীব্র আকাঙ্খা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই তিনটি বিষয়ের ভিত্তিতে এবং ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশকে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।”