এশিয়া কাপের আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। তবে সেটা ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে। এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও দলটির নামের পাশে থাকলো চ্যাম্পিয়ন তকমা। এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সুরিয়া কুমার ইয়াদভের দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। দুই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় তারা। ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফটির দেখা পান শাহিবজাদা ফারহান। তবে আর ৭ রান যোগ করতেই বরুণ চক্রবর্তীর বলে ফেরেন তিনি। এশিয়া কাপে আগের ৬ ম্যাচে ডাক মারা সাইম আইউব এই ম্যাচে ফেরেন ১৪ রানে। তৃতীয় উইকেটে শূন্য রানে আউট হন মোহাম্মদ হারিস।
দুর্দান্ত শুরুর পরও শেষ দিকে ভারতীয়দের দুরন্ত বোলিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে পাক ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
ভারতের হয়ে ৪ উইকেট ঝুলিতে ভরেন কুলদীপ ইয়াদভ। জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও আক্সার প্যাটেল শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ২০ রানে হারায় তিন উইকেট। এশিয়া কাপজুড়ে বোলারদের আতঙ্ক হয়ে থাকা অভিষেক শর্মাকে ফেরান ফাহিম আশরাফ। কাপ্তান সুরিয়া কুমার ইয়াদভকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শাহিন আফ্রিদি। শুবমান গিলকে অল্প রানে আউট করেন ফাহিম। পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৬।
এরপর জুটি গড়েন সাঞ্জু স্যামসন আর তিলক ভার্মা। দলের রান যখন ৭৭, তখন স্পিনার আবরার আহমেদের বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্যামসন। এরপর শিভম দুবেকে নিয়ে বাকি কাজ প্রায় সেরেই ফেলেন তিলক ভার্মা। জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে ফাহিমের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ২২ বলে ৩৩ রান করা দুবে।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী ছিল তিলকের ব্যাটে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ ফিফটির দেখা পাওয়া তিলক ভার্মাই মূলত পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৩ বলে ৬৯ রান নিয়ে। আরেক অপরাজিত ব্যাটার রিংকু সিং বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করেন।
দুই বল বাকি থাকতে ভারতের তরী ভেড়ে জয়ের তীরে। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখে মেন ইন ব্লুরা।