গণটিকাদান শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য প্রথমে ছয়দিন ধরে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে পরবর্তীতে টিকার স্বল্পতার সেই সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু ভিড়ের কারণে ঢাকাসহ নানা জায়গায় অনেক কেন্দ্রেই চরম অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে।
সরকার প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেয়ার নিয়ম চালু করলেও এবার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই টিকা নিতে পারছে মানুষ।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, টিকা গ্রহীতাদের কাছ থেকে পরিচয়পত্রের ফটোকপি রাখা হচ্ছে যেগুলো তারা নিজেরাই পরে মূল ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহীতারা স্বাস্থ্য বিভাগের টিকা সম্পর্কিত এসএমএস পেয়ে যাবেন।
৪৪ বছর বয়সী বেসরকারি চাকুরীজীবী নাসিরুল হক বলেন, ” ফরিদপুর পুলিশ হাসপাতালে টিকা দিতে বয়স্ক মাকে নিয়ে আসেন তিনি। চরম হযবরল অবস্থা। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই। ভিড় আর হুড়োহুড়ির কারণে এক ঘণ্টা মাকে বাইরে গাড়িতে বসিয়ে রাখার পর টিকা দিতে পেরেছি”।
প্রায় একই ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । ফরিদপুর পুলিশ হাসপাতালে একজন কর্মকর্তা বলনে, ”কর্তৃপক্ষের দিক থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে অনেক কিন্তু অনেকেই এক সাথে কেন্দ্রে আসায় ভিড় বেশি হয়েছে”।
আমাদের নিজস্ব প্রতনিধিরা কয়েকটি ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেছেন।
“মানুষের মধ্যে উৎসাহ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষও তৎপর কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কেউ। আবার বৃষ্টির কারণেও অনেক জায়গায় সমস্যা হয়েছে”।
তবে কেন্দ্র ভিত্তিক নির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকায় এবং ২য় ডোজ, পূর্বে নিবন্ধিত ও নিবন্ধনহীন সকলকে একই গণটিকাদান কার্যক্রমের মধ্যে নিয়ে একই লাইনে দাড় করানোয় অনেকে বিড়াম্বনার শিকার হচ্ছেন এবং টিকা নির্ধারীত সময়ে পাচ্ছেন না।