গত ২৪ ঘন্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৮ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৯সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর ফলে ফরিদপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে সড়ক। হয়েছে ফসলের ক্ষতি। বন্যা উপদ্রত এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন।
বন্যার বিস্তৃতি
ফরিদপুর সদরের তিনটি, চরভদ্রাসনের চারটি, সদরপুরের দুটি এবং ভাঙ্গার একটি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। ওই গ্রামগুলির ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ওই ১০টি ইউনিয়নের ২৩৪ টি গ্রামের ১৮ হাজার ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায়।
এর মধ্যে সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়নের ১ হাজার ৮০০ পরিবার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছেন। ওই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, ইউনিয়নের সব সড়ক ডুবে গেছে। লোকজন নৌকা ও কলার তৈরী ভেলা ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এ ছাড়া গবাধী পশু নিয়ে অবর্ণনীয় বিপদে পড়েছে বানবাসী মানুষ।
ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক বলেন, তার ইউনিয়নে তিনটি সড়কের বিশাল অংশ পানির তোড়ে ধ্বসে পড়েছে। তিনি বলেন, ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী ও বাসের মোস্তাফা ডাঙ্গী গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
ফসলের ক্ষতি
ফরিদপুর নর্থ চ্যানেল ইউয়িনের চেযারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক জানান, পানিতে তার ইউনিয়নের একশ একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
এদিকে চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন পানিতে ৭০ হেক্টর ফসল তলিয়ে গেছে। এ ফসলের মধ্যে বোনা আমন, উরশি রোপা আমন, কলা ও সবজি রয়েছে।