ব্লাস্ট ফরিদপুরের উদ্যোগে তিনটি মামলা ও ২৯টি সালিস বৈঠকের মাধ্যমে গত ছয় মাসে পারিবারিক বিরোধ নিস্পতি করে প্রায় সাইত্রিশ লাখ টাকা আদায় করা হয়। ফরিদপুরে ব্লাস্টের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ কথা জানানো হয়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জুম অ্যাপসের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা সদস্য খাদিজা বেগম।
সূচনা বক্তব্য দেন ব্লাস্ট ফরিদপুরের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী। সভায় ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন। জেলা ব্লাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা অর্চনা দাস। গত ছয় মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরেন আইন বিষয়ক করণিক (ল ক্লার্ক) ফারহা দীবা। দেড় বছরের হিসাবের বিবরন তুরে ধরেন আইনবিষয়ক করণিক দেলোয়ার হোসেন।
ওই সভায় জানানো হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি জুন মাস পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করা হয় ৩৮১ টি। এর ,মধ্যে ২৭১ নারীর ও ১১০ টি পুরুষের। আইনী পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে ৫৮ জন নারী ও ৪৫ জন পুরুষ। সালিসের মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়েছে ১২২টি। এর মধ্যে ৬২ জন নারী ও ৪৭ জন পুরুষ। মামলা দায়ের করা হয়েছে ১০৯ টি। এর মধ্যে ৬২ জন নারী ও ৪৭ জন পুরুষ। আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে ৩৪টি নারীর ও ৬ জন পুরুষ।
সভায় আরো জানানো হয় থানা ও আদালত এবং কারাগারের প্যারালিগ্যালদের মাধ্যমে আইনীসহায়তা প্রদান করা হয়েছে ৪৭০ জনকে। এর মধ্যে ৩৭ জন নারী ও ৪২৩ জন পুরুষ। ২৯ টি সালিসের মাধ্যমে আবেদনকারীকে অপর পক্ষের নিকট থেকে আদায় করে দেওয়া হয়েছে ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার পাঁচশত টাকা। তিনি মামলার মাধ্যমে আবেদনকারীকে অপর পক্ষের কাছ থেকে আদায় করে দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা।
সভায় আরও জানানো হয়, গত ছয় মাসে ফোনেই ইর্মাজেন্সি সার্পোট দেয়া হয়েছে ১৯৪ জনকে। এদের মধ্যে ৯১ জন নারী ও ১০৩ জন পুরুষ। ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট ১৬ জন কারাবন্দীদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। যাদের মধ্যে ১ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ।
উপদেষ্টা সদস্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, আইভী মাসুদ, ডা. দিলরুবা জেবা, পান্না বালা, মো: রফিকুজ্জামান, আসমা আক্তার, চঞ্চলা মন্ডল প্রমূখ।