ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের মধুখালীতে পিঁয়াজ চারার হাট

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ফরিদপুরের মধুখালীতে জমে উঠেছে পেঁয়াজের চারার হাট। চারা রোপণের মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই হাট জমে উঠে মধুখালীতে। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মরিচ বাজারে এ হাট বসে। সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার হাটবার। এ দুটি দিনে সকাল থেকেই ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে হাট। বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ও দেশি জাতের চারা বিক্রি হয় এ হাটে। এ বছর মধুখালীর বিভিন্ন হাটে কৃষকরা পেঁয়াজের চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের দাবি দামের পরিমান বেশি । উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেঁয়াজের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান। উপজেলার সবচেয়ে বড় মধুখালী বাজার হাটে শুক্রবার চারা সংগ্রহ করতে ভিড় পড়ে গেছে কৃষকদের। মানিকগঞ্জ ঝিটকা, রাজবাড়ীর বহরপুর, নারুয়া, সোনাপুর, সালথা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে মিনি পিকআপে ও ভ্যানে করে চারা আসে মধুখালীর হাটে। সেখান থেকে এসব চারা আবার স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়। শুক্রবার বিকেলে সরজমিনে মধুখালী পিয়াজের চারার হাট ঘুরে দেখা যায় বাজারে খুচরা পর্যায়ে চারা ভেদে প্রতিমণের দাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোপনের শুরুর মৌসুমেই চারার দাম কিছুটা বেশি। হাটে চারার আমদানিও ব্যাপক দেখা যায়। প্রতিমণ চারায় আড়ৎদার, ঝাড়ুদার ও খাজনায় বস্তা প্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতিহাটে মধুখালীতে ৪শ থেকে ৫শমন চারা ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। চারা রোপণে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পারকরছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত কৃষক হাটে চারা সংগ্রহ করতে হাজির হচ্ছে। উপজেলার রাযপুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের পিয়াজ চাষী রাসেল আহমেদ জানান এ বছর তিনি ১ একর জমিতে পিয়াজ চাষ করবেন। একই গ্রামের জিল্লুর রহমান জানান নিজেই পিয়াজের বীজ উৎপাদন করেছি যে কারনে আমার একটু খরচ কম হবে।

মধুখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভির রহমান জানান, ১৭০ হেক্টর পর্যন্ত চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে আরো এক মাস কৃষকরা চারা রোপণ করবেন। তাতে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরের মধুখালীতে পিঁয়াজ চারার হাট

Update Time : ১২:১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ফরিদপুরের মধুখালীতে জমে উঠেছে পেঁয়াজের চারার হাট। চারা রোপণের মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই হাট জমে উঠে মধুখালীতে। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মরিচ বাজারে এ হাট বসে। সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার হাটবার। এ দুটি দিনে সকাল থেকেই ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে হাট। বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ও দেশি জাতের চারা বিক্রি হয় এ হাটে। এ বছর মধুখালীর বিভিন্ন হাটে কৃষকরা পেঁয়াজের চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের দাবি দামের পরিমান বেশি । উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেঁয়াজের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান। উপজেলার সবচেয়ে বড় মধুখালী বাজার হাটে শুক্রবার চারা সংগ্রহ করতে ভিড় পড়ে গেছে কৃষকদের। মানিকগঞ্জ ঝিটকা, রাজবাড়ীর বহরপুর, নারুয়া, সোনাপুর, সালথা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে মিনি পিকআপে ও ভ্যানে করে চারা আসে মধুখালীর হাটে। সেখান থেকে এসব চারা আবার স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়। শুক্রবার বিকেলে সরজমিনে মধুখালী পিয়াজের চারার হাট ঘুরে দেখা যায় বাজারে খুচরা পর্যায়ে চারা ভেদে প্রতিমণের দাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোপনের শুরুর মৌসুমেই চারার দাম কিছুটা বেশি। হাটে চারার আমদানিও ব্যাপক দেখা যায়। প্রতিমণ চারায় আড়ৎদার, ঝাড়ুদার ও খাজনায় বস্তা প্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতিহাটে মধুখালীতে ৪শ থেকে ৫শমন চারা ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। চারা রোপণে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পারকরছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত কৃষক হাটে চারা সংগ্রহ করতে হাজির হচ্ছে। উপজেলার রাযপুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের পিয়াজ চাষী রাসেল আহমেদ জানান এ বছর তিনি ১ একর জমিতে পিয়াজ চাষ করবেন। একই গ্রামের জিল্লুর রহমান জানান নিজেই পিয়াজের বীজ উৎপাদন করেছি যে কারনে আমার একটু খরচ কম হবে।

মধুখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভির রহমান জানান, ১৭০ হেক্টর পর্যন্ত চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে আরো এক মাস কৃষকরা চারা রোপণ করবেন। তাতে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।