ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছা ব্যবহার করে এখন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা ১২ দিন ছুটি থাকবে জাকসু নির্বাচন: হল সংসদের ভিপি-জিএস হলেন যারা চূড়ান্ত ফলে ভিপি জিতু, জিএস-এজিএসসহ ১৯ পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল আজ সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঘোষণা হতে পারে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৩৮ ঘণ্টার পরও শেষ হয়নি ভোট গণনা, জাকসুর ফল প্রকাশে অনিশ্চয়তা লন্ডনে মাহফুজ আলমের ওপর আ.লীগ নেতাকর্মীদের হামলার চেষ্টা এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ১৩ সেপ্টেম্বর

বিরল রোগে আক্তান্ত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুই সহোদর

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আবির হুসাইন নাঈম ও নূর হোসেন নামে আপন দুই সহোদরের শরীরে বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাদের চোখ, নখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কিছুতেই গরম সহ্য করতে পারেনা তারা। ৩-৪ মিনিট পর পর শরীরে পানি ঢালতে হয় তাদের। রক্ত বের হতে থাকলে দেখা দেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। অনেক সময় হাত-পা কুঁকড়ে ধরে যায়। জন্মের পর থেকে দুই ভাইয়ের শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায়  বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও শিশু নূর হোসেনের (৪) জীবন চলছে। বিরল রোগে আক্রান্ত দুই শিশুকে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতসহ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগটিই শনাক্ত করা যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১২-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে পরিবারটির। এখন ভিটে-মাটি ছাড়া কিছুই নেই ওই পরিবারের। ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পুনরায় সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বললেও বর্তমানে পরিবারটি পড়েছে অর্থ সংকটে। এক চা দোকানী বাবার পক্ষে সব হারিয়ে দুই সন্তানের সুচিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে শিশু দুইটির সবরকম চিকিৎসা বন্ধ গেছে। আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও নূর হোসেন (৪) আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা দোকানী হাবিবুর রহমান ও রাবেয়া বেগম দম্পত্তির সন্তান। দুই সন্তানের চিকিৎসার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন তারা। তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যম হচ্ছে- হাবিবুর রহমান, ব্যাংক হিসাব নম্বর- ২৮০১৯২২৯৬৮০০১, সিটি ব্যাংক, আলফাডাঙ্গা শাখা, ফরিদপুর এবং বিকাশ নম্বর- ০১৯২৩৫২৯৯৩২।

মঙ্গলবার(১৩ জুন) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা বিক্রেতা হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১৮ বছর আগে রাবেয়া বেগম নামে এক ভদ্র মহিলা সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের প্রথম সন্তান সুরাইয়া এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মের ১০ মাস পর মারা যায়। এরপর আল্লাহ তাদের সংসারে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈমও চার বছরের শিশু নূর হোসেনে এ রোগে আক্রান্ত হয়। বড় ছেলে ইচাপাশা হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসায় ৮ পারা হাফেজি শেষ করেছে। মেঝো মেয়ে সাদিয়া আক্তার সামিয়ার বয়স ৯ বছর। সেও ওই মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ২০১৮ সালে দুই ছেলেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে দুই ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। করোনার পর ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিলো। এখন অর্থনৈতিক সমস্যায় নিয়ে চা বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চলছে।

Tag :
জনপ্রিয়

অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছা ব্যবহার করে এখন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

বিরল রোগে আক্তান্ত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুই সহোদর

Update Time : ০৬:২৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আবির হুসাইন নাঈম ও নূর হোসেন নামে আপন দুই সহোদরের শরীরে বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাদের চোখ, নখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কিছুতেই গরম সহ্য করতে পারেনা তারা। ৩-৪ মিনিট পর পর শরীরে পানি ঢালতে হয় তাদের। রক্ত বের হতে থাকলে দেখা দেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। অনেক সময় হাত-পা কুঁকড়ে ধরে যায়। জন্মের পর থেকে দুই ভাইয়ের শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায়  বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও শিশু নূর হোসেনের (৪) জীবন চলছে। বিরল রোগে আক্রান্ত দুই শিশুকে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতসহ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগটিই শনাক্ত করা যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১২-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে পরিবারটির। এখন ভিটে-মাটি ছাড়া কিছুই নেই ওই পরিবারের। ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পুনরায় সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বললেও বর্তমানে পরিবারটি পড়েছে অর্থ সংকটে। এক চা দোকানী বাবার পক্ষে সব হারিয়ে দুই সন্তানের সুচিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে শিশু দুইটির সবরকম চিকিৎসা বন্ধ গেছে। আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও নূর হোসেন (৪) আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা দোকানী হাবিবুর রহমান ও রাবেয়া বেগম দম্পত্তির সন্তান। দুই সন্তানের চিকিৎসার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন তারা। তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যম হচ্ছে- হাবিবুর রহমান, ব্যাংক হিসাব নম্বর- ২৮০১৯২২৯৬৮০০১, সিটি ব্যাংক, আলফাডাঙ্গা শাখা, ফরিদপুর এবং বিকাশ নম্বর- ০১৯২৩৫২৯৯৩২।

মঙ্গলবার(১৩ জুন) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা বিক্রেতা হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১৮ বছর আগে রাবেয়া বেগম নামে এক ভদ্র মহিলা সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের প্রথম সন্তান সুরাইয়া এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মের ১০ মাস পর মারা যায়। এরপর আল্লাহ তাদের সংসারে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈমও চার বছরের শিশু নূর হোসেনে এ রোগে আক্রান্ত হয়। বড় ছেলে ইচাপাশা হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসায় ৮ পারা হাফেজি শেষ করেছে। মেঝো মেয়ে সাদিয়া আক্তার সামিয়ার বয়স ৯ বছর। সেও ওই মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ২০১৮ সালে দুই ছেলেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে দুই ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। করোনার পর ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিলো। এখন অর্থনৈতিক সমস্যায় নিয়ে চা বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চলছে।