ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শাপলা না দিলে বাদ দিতে হবে ধানের শীষও: পাটওয়ারী জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ ঘোষণা, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৯ অক্টোবর আগামী ১২ অক্টোবর ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফরিদপুর: ডিসি’র স্বাক্ষর জাল! বিপাকে প্রধান শিক্ষক টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে সরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে খুলেছে চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেও ইসরাইল তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে, নিহত ১০ ফিলিস্তিনি

আগামীকাল শনিবার বৃষ্টি কমে আসতে পারে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯০ Time View

সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানীসহ সারাদেশের জনজীবন। আজ সকাল থেকে ঢাকার আকাশে আর সূর্যের দেখা মেলেনি। গতকাল শুরু হওয়া বৃষ্টি রাতে কিছুটা কমলেও আজ দুপুরে নামে মুষলধারে। আবহাওয়া অধিদফতরের ভাষ্য, আজ সারাদিনই এরকম বৃষ্টি চলতে পারে। তবে আগামীকাল শনিবার বৃষ্টি কমে আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ এবং এখনও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল নাগাদ এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে। ‍বর্ষা শেষ হওয়ার জন্য অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৭৮ মিলিমিটার। যেটি ১৯৭১ সালের পর সর্বোচ্চ। এই সময়ে ঢাকায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ঢাকায় ৬৫, রাজশাহীতে ৮১, রংপুরে ১০, সিলেটে ৫১, চট্টগ্রামে ৫৫, খুলনায় ৫ এবং বরিশালে ২ মিলিমিটার করে হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে নেত্রকোনায় ৩৫১, নিকলিতে ৩১১, টাঙ্গাইলে ২৩০, ফরিদপুরে ২৩০, যশোরে ১১৯, বগুড়ায় ১৩৪, কুমারখালিতে ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাংশ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগর ও নদী কিছুটা উত্তাল থাকায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

শাপলা না দিলে বাদ দিতে হবে ধানের শীষও: পাটওয়ারী

আগামীকাল শনিবার বৃষ্টি কমে আসতে পারে

Update Time : ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানীসহ সারাদেশের জনজীবন। আজ সকাল থেকে ঢাকার আকাশে আর সূর্যের দেখা মেলেনি। গতকাল শুরু হওয়া বৃষ্টি রাতে কিছুটা কমলেও আজ দুপুরে নামে মুষলধারে। আবহাওয়া অধিদফতরের ভাষ্য, আজ সারাদিনই এরকম বৃষ্টি চলতে পারে। তবে আগামীকাল শনিবার বৃষ্টি কমে আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ এবং এখনও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল নাগাদ এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে। ‍বর্ষা শেষ হওয়ার জন্য অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৭৮ মিলিমিটার। যেটি ১৯৭১ সালের পর সর্বোচ্চ। এই সময়ে ঢাকায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ঢাকায় ৬৫, রাজশাহীতে ৮১, রংপুরে ১০, সিলেটে ৫১, চট্টগ্রামে ৫৫, খুলনায় ৫ এবং বরিশালে ২ মিলিমিটার করে হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে নেত্রকোনায় ৩৫১, নিকলিতে ৩১১, টাঙ্গাইলে ২৩০, ফরিদপুরে ২৩০, যশোরে ১১৯, বগুড়ায় ১৩৪, কুমারখালিতে ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাংশ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগর ও নদী কিছুটা উত্তাল থাকায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।