ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

চলতি বছরের জুন মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ; তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

গত জুনে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়েছে, যা বিগত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপর থেকে গত জুনের মতো এত কম মূল্যস্ফীতি আর হয়নি। এছাড়া টানা চার মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমেছে।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জুনের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করে। বিবিএস বলছে, গত জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। যদি আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যয় না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কষ্ট করতে হয়। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে কিন্তু আয় না বাড়লে অনেককে ধার করতে হয় বা ব্যয় কমাতে হয়। এতে প্রকৃত আয় কমে যায়।

আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতি–কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে। জুন (২০২৫ সাল) মাসের উপাত্ত অনুযায়ী পয়েন্ট–টু–পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় ২ শতাংশ–বিন্দু কম।’

তিনি আরও লেখেন, ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়ে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পেতে শুরু করেছে এবং আগামী দিনে তা খুব দ্রুত কমে আসবে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এরপর প্রতি মাসেই তা কমেছে—এপ্রিলে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, মে মাসে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং সর্বশেষ জুনে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

Tag :
জনপ্রিয়

বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি

চলতি বছরের জুন মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ; তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

Update Time : ০১:৩২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

গত জুনে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়েছে, যা বিগত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপর থেকে গত জুনের মতো এত কম মূল্যস্ফীতি আর হয়নি। এছাড়া টানা চার মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমেছে।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জুনের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করে। বিবিএস বলছে, গত জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। যদি আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যয় না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কষ্ট করতে হয়। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে কিন্তু আয় না বাড়লে অনেককে ধার করতে হয় বা ব্যয় কমাতে হয়। এতে প্রকৃত আয় কমে যায়।

আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতি–কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে। জুন (২০২৫ সাল) মাসের উপাত্ত অনুযায়ী পয়েন্ট–টু–পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় ২ শতাংশ–বিন্দু কম।’

তিনি আরও লেখেন, ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়ে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পেতে শুরু করেছে এবং আগামী দিনে তা খুব দ্রুত কমে আসবে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এরপর প্রতি মাসেই তা কমেছে—এপ্রিলে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, মে মাসে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং সর্বশেষ জুনে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।