ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে মরক্কো আজকের নামাজের সময়সূচি: ২০ অক্টোবর ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে অক্টোবরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯ হাজার কোটি টাকা পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন ইস্যুতে নাহিদ ইসলামের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য জামায়াতের পিআর আন্দোলন একটি রাজনৈতিক প্রতারণা : নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন: পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে, ব্যাংক খাত নিয়ে শঙ্কা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ৬৯ Time View
বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে। আগে ঋণমান ছিল ‘বি-ওয়ান’, এখন তা নেমে এসেছে ‘বি-টু’ পর্যায়ে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ হয়ে গেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) প্রকাশিত মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
যে চারটি কারণে রেটিং কমানো হলো: মুডিসের মতে,
১. অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
২. ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে।
৩. খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে।
৪. মূল্যস্ফীতি চরমে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম কারণ।
অপরদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। তবে ২০২৫ সালেও মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায়, প্রায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশে থাকার আশঙ্কা করছে মুডিস।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন নিম্নমুখী
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমছে: ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশ হতে পারে, যা আগের বছরের ৫.৮ শতাংশ থেকে কম।
মূল্যস্ফীতি বেশি থাকবে: ২০২৫ সালেও প্রায় ৯.৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হতে পারে।
ব্যাংকগুলোর সমস্যা বাড়ছে: ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ১৭ শতাংশ হয়ে গেছে, যা মাত্র ৯ মাস আগেও ৯ শতাংশ ছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থা আরও খারাপ
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন পরিস্থিতি নেতিবাচক (-২.৫ শতাংশ), যা বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় অনেক নিচে। সরকার নতুন করে টাকা না দিলে এসব ব্যাংকের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চেষ্টা
সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করেছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। খেলাপি ঋণ কমাতে ২০২৫ সালের এপ্রিলে কঠোর নিয়ম আসছে। তারল্য সংকট এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সহায়তা দেবে।
জীবনযাত্রা কঠিন হবে
ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে। পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। ব্যবসায় বিনিয়োগ কমতে পারে। চাকরি বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
মুডিস বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন কঠিন সময় পার করছে। সরকারের সহায়তা ছাড়া ব্যাংকগুলোর জন্য সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
Tag :
জনপ্রিয়

এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে, ব্যাংক খাত নিয়ে শঙ্কা

Update Time : ০৫:০৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে। আগে ঋণমান ছিল ‘বি-ওয়ান’, এখন তা নেমে এসেছে ‘বি-টু’ পর্যায়ে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ হয়ে গেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) প্রকাশিত মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
যে চারটি কারণে রেটিং কমানো হলো: মুডিসের মতে,
১. অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
২. ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে।
৩. খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে।
৪. মূল্যস্ফীতি চরমে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম কারণ।
অপরদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। তবে ২০২৫ সালেও মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায়, প্রায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশে থাকার আশঙ্কা করছে মুডিস।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন নিম্নমুখী
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমছে: ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশ হতে পারে, যা আগের বছরের ৫.৮ শতাংশ থেকে কম।
মূল্যস্ফীতি বেশি থাকবে: ২০২৫ সালেও প্রায় ৯.৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হতে পারে।
ব্যাংকগুলোর সমস্যা বাড়ছে: ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ১৭ শতাংশ হয়ে গেছে, যা মাত্র ৯ মাস আগেও ৯ শতাংশ ছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থা আরও খারাপ
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন পরিস্থিতি নেতিবাচক (-২.৫ শতাংশ), যা বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় অনেক নিচে। সরকার নতুন করে টাকা না দিলে এসব ব্যাংকের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চেষ্টা
সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করেছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। খেলাপি ঋণ কমাতে ২০২৫ সালের এপ্রিলে কঠোর নিয়ম আসছে। তারল্য সংকট এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সহায়তা দেবে।
জীবনযাত্রা কঠিন হবে
ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে। পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। ব্যবসায় বিনিয়োগ কমতে পারে। চাকরি বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
মুডিস বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন কঠিন সময় পার করছে। সরকারের সহায়তা ছাড়া ব্যাংকগুলোর জন্য সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।