ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু সামিউল হত্যা: মাসহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৪৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
  • ৩০৭ Time View

রাজধানীর আদাবরে পরকীয়ার জেরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে (৫) হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মা এশা ও এশার প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দুই আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা এবং শামসুজ্জামান বাক্কু জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর মামলার বাদী সামিউলের বাবা কে আর আজম বিচার চলার মধ্যেই মারা গেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।

মরদেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এতে এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এই মামলায় সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন। অপরদিকে বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। বর্তমানে বাক্কু ও এশা দুইজনই পলাতক।

Tag :
জনপ্রিয়

শিশু সামিউল হত্যা: মাসহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৭:৪৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

রাজধানীর আদাবরে পরকীয়ার জেরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে (৫) হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মা এশা ও এশার প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দুই আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা এবং শামসুজ্জামান বাক্কু জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর মামলার বাদী সামিউলের বাবা কে আর আজম বিচার চলার মধ্যেই মারা গেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।

মরদেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এতে এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এই মামলায় সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন। অপরদিকে বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। বর্তমানে বাক্কু ও এশা দুইজনই পলাতক।