ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শাপলা না দিলে বাদ দিতে হবে ধানের শীষও: পাটওয়ারী জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ ঘোষণা, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৯ অক্টোবর আগামী ১২ অক্টোবর ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফরিদপুর: ডিসি’র স্বাক্ষর জাল! বিপাকে প্রধান শিক্ষক টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে সরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে খুলেছে চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেও ইসরাইল তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে, নিহত ১০ ফিলিস্তিনি

কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা এখন ১০ দশমিক ১ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৬১ Time View

কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা এখন ১০ দশমিক ১ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। ফলে কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়েছে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কুয়াশা কুড়িগ্রামে কিছুটা কম দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইতিমধ্যে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪২ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

ঠান্ডার বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষ। শিশু ও বয়স্করাও পড়েছেন বিপাকে। উত্তরের তীব্র বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলায় প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী ও এর তীরবর্তী চর ও দ্বীপের মানুষ দুর্ভোগে আছে।

জেলার রাজারহাট উপজেলার কবির হাওলাদার বলেন, আমি শ্রমিকের কাজ করি, খুব সকালে কাজে যেতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে আসে। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে আমরা বাইরে বের হতে পারছি না।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরর্দার জানান, বর্তামানে হাসপাতালটি এখন ঠান্ডজনিত রোগীর প্রকোপ বেড়েছে। এই মুহুর্তে ৩৬৫ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ৭১ জন। শীতজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই জানুয়ারি মাসে আরো ২-১টি শৈত্য প্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, এই শীত ও কুয়াশায় শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। যদি তীব্র শৈত্য প্রবাহ কয়েকদিন স্থায়ী হয় তবে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সুতরাং এসময় কি করতে হবে সে বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

শাপলা না দিলে বাদ দিতে হবে ধানের শীষও: পাটওয়ারী

কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা এখন ১০ দশমিক ১ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে

Update Time : ০৫:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা এখন ১০ দশমিক ১ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। ফলে কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়েছে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কুয়াশা কুড়িগ্রামে কিছুটা কম দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইতিমধ্যে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪২ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

ঠান্ডার বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষ। শিশু ও বয়স্করাও পড়েছেন বিপাকে। উত্তরের তীব্র বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলায় প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী ও এর তীরবর্তী চর ও দ্বীপের মানুষ দুর্ভোগে আছে।

জেলার রাজারহাট উপজেলার কবির হাওলাদার বলেন, আমি শ্রমিকের কাজ করি, খুব সকালে কাজে যেতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে আসে। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে আমরা বাইরে বের হতে পারছি না।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরর্দার জানান, বর্তামানে হাসপাতালটি এখন ঠান্ডজনিত রোগীর প্রকোপ বেড়েছে। এই মুহুর্তে ৩৬৫ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ৭১ জন। শীতজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই জানুয়ারি মাসে আরো ২-১টি শৈত্য প্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, এই শীত ও কুয়াশায় শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। যদি তীব্র শৈত্য প্রবাহ কয়েকদিন স্থায়ী হয় তবে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সুতরাং এসময় কি করতে হবে সে বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।